মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন বাণিজ্য শুল্ক কার্যকর হওয়ার আশঙ্কায় চীনা সংস্থাগুলো জুন মাসে তড়িঘড়ি করে পণ্য রপ্তানি করেছে, যার ফলে দেশের রপ্তানি খাতে ৫.৮% প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। এই ‘ফ্রন্টলোডিং’ বা আগেভাগে অর্ডার পাঠিয়ে দেওয়ার প্রবণতা এটাই প্রমাণ করে যে, দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্য চুক্তি হবে কি না, তা নিয়ে তীব্র অনিশ্চয়তা রয়েছে।
কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চীনা উৎপাদকরা দুটি প্রধান কৌশল অবলম্বন করছে। প্রথমত, তারা শুল্কবিরতির সুযোগ নিয়ে সরাসরি আমেরিকায় পণ্য পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর (আসিয়ান) জোটে রপ্তানি ১৬.৮% বৃদ্ধি করেছে। এই অঞ্চলটিকে তারা মার্কিন শুল্ক এড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, রপ্তানির এই উল্লম্ফন কৃত্রিম এবং সম্পূর্ণ অস্থায়ী। তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আমেরিকা এর মধ্যেই এই কৌশল ধরে ফেলেছে এবং ভিয়েতনামের মাধ্যমে পাঠানো পণ্যের ওপর ৪০% শুল্ক আরোপ করেছে। আসল ভয় হলো, যদি নতুন শুল্কের হার ৩৫% ছাড়িয়ে যায়, তবে চীনা সংস্থাগুলোর মুনাফা প্রায় শূন্য হয়ে যাবে।
জুনের এই পরিসংখ্যান বাজারে সাময়িক স্বস্তি আনলেও, মূল উদ্বেগ এখনও কাটেনি। দেশের অভ্যন্তরে দুর্বল চাহিদা এবং হোয়াইট হাউসের সাথে চুক্তি করার জন্য ১২ই আগস্টের সময়সীমার চাপে চীনের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি এক গভীর অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে আছে।