রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনাকে ‘ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করলেও, ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে কোনো চূড়ান্ত চুক্তির ঘোষণা দেননি। পরিবর্তে, তিনি যুদ্ধ থামানোর দায়ভার পুরোপুরি কিয়েভের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে প্রকাশ্যে “চুক্তি করার” জন্য চাপ দিয়েছেন।
দুই নেতাই তাদের দীর্ঘ আলোচনার কোনো বিবরণ প্রকাশ করেননি, যা কিয়েভ এবং ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তাদের আশঙ্কা, তাদের স্বার্থকে উপেক্ষা করে দুই দেশের মধ্যে কোনো গোপন সমঝোতা হতে পারে।
ট্রাম্প বলেছেন, মাত্র “এক-দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়” অমীমাংসিত রয়েছে, কিন্তু এর সমাধান “পুরোপুরি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ওপরই নির্ভর করছে।”
সমালোচকরা এই বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতির মতো কোনো প্রতিশ্রুতি না দিয়েই পুতিন মার্কিন মাটিতে বৈঠক করে একটি বড় কূটনৈতিক জয় পেয়েছেন।
ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন বলেন, “পুতিন আমেরিকার মাটিতে বৈঠক পেলেন, আর ট্রাম্প পুতিনের প্রশংসায় মুগ্ধ হলেন। লাভ হলো পুতিনেরই।”
এই উদ্বেগের মধ্যেই ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আপাতত রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ থেকে বিরত থাকবেন। যদিও তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করেছেন, তবে ইউক্রেনীয় নেতাকে ছাড় দেওয়ার জন্য তার এই প্রকাশ্য চাপ ভবিষ্যৎ পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ ও অনিশ্চিত করে তুলেছে।