চট্টগ্রাম নগরে শনিবার বিকেল থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে কাতালগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলি তলিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে, আশার কথা হলো নগরের অন্যান্য জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলোতে উল্লেখযোগ্য পানি জমে থাকার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ১২ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর বিগত ২৪ ঘণ্টায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ৮ মিলিমিটার। এর আগে, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ১৯২ মিলিমিটারের অতি ভারী বর্ষণ রেকর্ড করা হয়েছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবেই এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।
বিগত বছরগুলোতে যেখানে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমে থাকত ঘণ্টার পর ঘণ্টা, সেখানে গতকালের মুষলধারে বৃষ্টিতেও নগরের অন্যান্য পরিচিত জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকাগুলোতে তেমন পানি জমেনি। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল কাতালগঞ্জ এলাকা। সেখানে মূল সড়কে পানি জমে থাকায় যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে এবং স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
এলাকার দুজন বাসিন্দা জানান, কাতালগঞ্জে জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ হলো ‘হিজড়া খাল’। নগরের অন্যান্য খাল খনন ও পরিষ্কার করা হলেও কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ, কাপাসগোলা ও চকবাজার এলাকার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি দীর্ঘদিন ধরে খনন বা প্রশস্ত করা হয়নি। এর ফলে নগরের উঁচু এলাকা থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি এই খালে সঠিকভাবে নিষ্কাশিত হতে না পেরে আটকে যাচ্ছে, যা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মোহাম্মদ ঈসমাইল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই বৃষ্টিপাত আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির যে তীব্রতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তা ধীরে ধীরে কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।