ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে ঐকমত্য তুরস্ক ও রাশিয়ার, কূটনীতিতে জোর

LinkedIn
Twitter
Facebook
Telegram
WhatsApp
Email
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে ঐকমত্য তুরস্ক ও রাশিয়ার, কূটনীতিতে জোর

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক ফোনালাপে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে আঙ্কারার প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এরদোয়ান ও পুতিন একমত হয়েছেন যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত অবশ্যই শেষ করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব কূটনীতিকে সুযোগ দিতে হবে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট তার এই মতও পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, এই সংকটের একমাত্র সমাধান হলো ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় ফিরে যাওয়া।

বিজ্ঞাপন
তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন। dailyalo.com এর কোনও প্রস্তাব বা সুপারিশ নয়।

অন্যদিকে, রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ক্রেমলিন বলেছে যে পুতিন ও এরদোয়ান ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের “শক্তি প্রয়োগের” নিন্দা জানিয়েছেন।

ক্রেমলিন আরও বলেছে, “উভয় পক্ষই ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের চলমান বৃদ্ধি নিয়ে সবচেয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা ইতিমধ্যে বিপুল সংখ্যক হতাহতের দিকে পরিচালিত করেছে এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য গুরুতর দীর্ঘমেয়াদী পরিণতিতে পরিপূর্ণ।”

তারা আরও যোগ করেছে, “নেতারা অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করার এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কিত বিষয়সহ বিতর্কিত বিষয়গুলির নিষ্পত্তি একচেটিয়াভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে করার পক্ষে কথা বলেছেন।”

এই ফোনালাপ এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সম্প্রতি উভয় দেশই একে অপরের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে।

তুরস্ক ও রাশিয়া উভয় দেশই এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং তাদের এই যৌথ অবস্থান সংঘাত নিরসনে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কূটনীতির পথ কতটা কার্যকর হবে, তা ভবিষ্যতই বলবে। উভয় নেতাই যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন, তা এই অঞ্চলের শান্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।

বিজ্ঞাপন
তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন। dailyalo.com এর কোন প্রস্তাব বা সুপারিশ নয়।
বিজ্ঞাপন
তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন। dailyalo.com এর কোন প্রস্তাব বা সুপারিশ নয়।

আরও পড়ুন