সিইও ইলন মাস্ক ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পরেই টেসলার শেয়ারের দরে বড়সড় পতন ঘটেছে। সোমবার বাজার খোলার আগেই কোম্পানির শেয়ারের দাম ৭ শতাংশের বেশি কমে যায়।
মাস্কের এই নতুন রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ তৈরি করেছে, কারণ তাদের আশঙ্কা, এটি টেসলার জন্য এক সংকটময় মুহূর্তে তার মনোযোগ নষ্ট করবে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য মাস্কের রাজনীতিতে জড়ানো নতুন কোনো উদ্বেগের কারণ নয়। এর আগেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে তার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এবং তার বেরিয়ে আসাকে অনেকেই কোম্পানির জন্য স্বস্তির কারণ হিসেবে দেখেছিলেন। এখন আবারও রাজনীতিতে ফেরার পরিকল্পনা সেই পুরনো দুশ্চিন্তাকেই ফিরিয়ে এনেছে।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস বিনিয়োগকারীদের মনোভাব ব্যাখ্যা করে বলেছেন, মাস্কের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তারা এখন “ক্লান্ত এবং বিরক্ত”। তার মতে, টেসলা যখন ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তখন শেয়ারহোল্ডাররা তাকে ঠিক তার উল্টো পথে যেতে দেখছেন।
এই পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। তিনি এই পরিকল্পনাকে “হাস্যকর” বলে অভিহিত করে বলেছেন, মাস্কের “মাথা পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেছে”।
টেসলার জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল, কারণ সংস্থাটি ইতোমধ্যে গাড়ি ডেলিভারি ১৪% হ্রাস এবং তীব্র প্রতিযোগিতার সঙ্গে লড়াই করছে। বিনিয়োগকারীদের মতে, এই সময়ে এই ধরনের রাজনৈতিক বিতর্ক কোম্পানির জন্য সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় বিষয়।