ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র আতঙ্ক: সাতক্ষীরার উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে উদ্বেগ

LinkedIn
Twitter
Facebook
Telegram
WhatsApp
Email

গুরুত্বপূর্ণ

  • অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সাতক্ষীরার দক্ষিণ উপকূল, বিশেষ করে শ্যামনগরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
  • গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুরসহ একাধিক ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
  • বুড়িগোয়ালিনীর দুর্গাবাটি ও দাতিনাখালী এবং গাবুরার ছয়টি নির্দিষ্ট পয়েন্টে বাঁধের অবস্থা বিশেষভাবে নাজুক, যা পূর্ববর্তী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
  • বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য এবং বাঁধ নির্মাণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ না করায় বাঁধগুলো বারবার দুর্বল হয়ে পড়ছে।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ দক্ষিণ উপকূলের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের একাধিক বেড়িবাঁধ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা। এর মধ্যে বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন সর্বাধিক ঝুঁকিতে।

বিজ্ঞাপন
তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন। dailyalo.com এর কোনও প্রস্তাব বা সুপারিশ নয়।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম জানান, দুর্গাবাটি ও দাতিনাখালীর তিনটি স্থানে বাঁধের অবস্থা নাজুক, যা গত আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর যথাযথভাবে মেরামত করা হয়নি। একইভাবে, গাবুরা ইউনিয়নের প্রাক্তন সদস্য আবদুর রহিম সেখানকার হরিষখালী, পার্শেমারীসহ ছয়টি স্থানের বেড়িবাঁধের জরাজীর্ণ দশার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে প্রায়শই বাঁধ ভাঙছে। ২০০৯ সালের আইলায় এই গাবুরা ইউনিয়নের বাঁধ ভেঙে এলাকাটি দু’বছর জলমগ্ন ছিল, যা ‘শক্তি’র আগমনে নতুন করে আতঙ্ক বাড়িয়েছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, তাদের আওতাধীন মোট ৩৮০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩ কিলোমিটার অতি-ঝুঁকিপূর্ণ। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে অতি-ঝুঁকিপূর্ণ ৩ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র приближаতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে কড়া নজরদারি রাখছে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সানাউল ইসলামের মতে, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মাটির ভিন্নতা এবং বাঁধ নির্মাণের সময় মাটির স্তর ও উপযুক্ত সময় বিবেচনা না করার কারণেই উপকূলীয় মানুষ বারবার এই ধরনের সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় ৬৮৩ কিলোমিটার এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ৪৭৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যার ক্ষত উপকূলবাসী এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে। এর মাঝেই নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’।

বিজ্ঞাপন
তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন। dailyalo.com এর কোন প্রস্তাব বা সুপারিশ নয়।
বিজ্ঞাপন
তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপন। dailyalo.com এর কোন প্রস্তাব বা সুপারিশ নয়।

আরও পড়ুন