ব্যাংক অফ জাপানের সাম্প্রতিক “তানকান” সমীক্ষা অনুযায়ী, জাপানের বৃহৎ উৎপাদক সংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক আস্থা ছয় মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো কিছুটা বেড়েছে।
এই সামান্য আশাবাদের মূল কারণ হলো, তারা পণ্যের বর্ধিত মূল্য ক্রেতাদের ওপর চাপাতে সফল হয়েছে, যা মার্কিন বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তাকে কিছুটা হলেও সামাল দিয়েছে।
তবে এই ইতিবাচক চিত্র সব শিল্পে দেখা যায়নি। জাপানের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ গাড়িশিল্প একটি ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে। মার্কিন শুল্কের প্রভাবে এই খাতের আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। নতুন আমদানি শুল্ক কার্যকরের পর এটিই প্রথম সমীক্ষা, যা গাড়িশিল্পের ওপর এর সরাসরি প্রভাবকে সামনে এনেছে।
শুধু গাড়িশিল্পই নয়, পরিষেবা এবং খুচরা ব্যবসার মতো অ-উৎপাদন খাতেও আস্থা কমেছে। এই খাতের ব্যবসায়ীরা ক্রমবর্ধমান খরচ, কর্মী সংকট এবং সাধারণ মানুষের ব্যয় সংকোচনকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিদেশি পর্যটকদের চাহিদাও কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, আগামী দিনগুলো নিয়ে কোনো পক্ষই আশাবাদী নয়। উৎপাদক এবং অ-উৎপাদক উভয়ই মনে করছে যে পরবর্তী প্রান্তিকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। মার্কিন শুল্ক নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তা এবং অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা জাপানের অর্থনীতির জন্য একটি কঠিন সময়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।