প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশাল করছাড় ও ব্যয় বিল নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে চরম পরীক্ষার মুখে পড়েছেন রিপাবলিকানরা। সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে স্পিকার মাইক জনসন একটি বিভক্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এই বিলের ভাগ্য নির্ধারণী একটি পদ্ধতিগত ভোটের আগে এটি পাসের জন্য যথেষ্ট সমর্থন আছে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৪ঠা জুলাইয়ের আগেই এই বিলটি পাস করানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই বিলটি তার ২০১৭ সালের করছাড়ের মেয়াদ বাড়াবে, সীমান্ত সুরক্ষায় অর্থায়ন করবে এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে ব্যয় কমাবে। তবে বিলটির বিশাল ব্যয় নিয়েই মূল আপত্তি। নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিল আগামী দশ বছরে দেশের জাতীয় ঋণে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
সবচেয়ে বড় বাধা আসছে দলের ভেতর থেকেই। চিপ রয়ের মতো কট্টরপন্থী রক্ষণশীলরা বলছেন, বিলে যথেষ্ট ব্যয় কমানো হয়নি এবং তারা এর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, মেডিকেড স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে বড় ধরনের ব্যয় হ্রাসের কারণে কিছু মধ্যপন্থী রিপাবলিকান উদ্বিগ্ন। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের মতে, এই বিলের কারণে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য বীমা হারাতে পারে।
ডেমোক্র্যাটরা এই বিলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তাদের মতে, এটি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা খাতের ওপর একটি বড় আঘাত এবং এর মাধ্যমে শুধু ধনীদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এখন পদ্ধতিগত ভোটেই প্রথম আসল পরীক্ষা হবে, স্পিকার জনসন এই বিভেদ কাটিয়ে হোয়াইট হাউসকে একটি জয় এনে দিতে পারেন কি না।