ডিজিটাল ক্লান্তি? মাঝে মাঝে বিরতি নিন, সতেজ থাকুন সবসময়

LinkedIn
Twitter
Facebook
Telegram
WhatsApp
Email
ডিজিটাল ক্লান্তি মাঝে মাঝে বিরতি নিন, সতেজ থাকুন সবসময়

আজকের যুগ ডিজিটাল যুগ। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজ, যোগাযোগ, বিনোদন – সবকিছুতেই আমরা প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, যাকে বলা হয় ‘ডিজিটাল ক্লান্তি’ বা ‘ডিজিটাল ফ্যাটিগ’।

ডিজিটাল ক্লান্তির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে চোখে ব্যথা বা শুষ্কতা, মাথাব্যথা, ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা, অনিদ্রা, মনোযোগ কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের ওপর চাপ পড়ে, যাকে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’ বলা হয়। এছাড়া, সামাজিক মাধ্যমে অন্যের তথাকথিত নিখুঁত জীবন দেখে নিজের মধ্যে হীনম্মন্যতা বা অসন্তোষ তৈরি হতে পারে।

এই ডিজিটাল ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং সতেজ থাকতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রথমত, নিয়মিত ডিজিটাল বিরতি (ডিজিটাল ডিটক্স) নিন। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়, যেমন – খাওয়ার সময় বা ঘুমানোর আগে, সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন বা কয়েক ঘণ্টা সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তিবিমুখ থাকার চেষ্টা করুন। দ্বিতীয়ত, কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। প্রতি ২০-৩০ মিনিট পর পর স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে দূরের কোনো সবুজ কিছুর দিকে তাকান। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন বা হালকা স্ট্রেচিং করুন।

তৃতীয়ত, আপনার ডিভাইসগুলোতে ‘নাইট মোড’ বা ‘ব্লু লাইট ফিল্টার’ ব্যবহার করুন, বিশেষ করে রাতের বেলায়। এটি চোখের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে। চতুর্থত, বাস্তব জীবনে সামাজিক যোগাযোগ বাড়ান। বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন, একসঙ্গে সময় কাটান। প্রকৃতির সান্নিধ্যে যান, খেলাধুলা করুন বা কোনো শখের চর্চা করুন যা স্ক্রিননির্ভর নয়।

পঞ্চমত, ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার বন্ধ করুন। শোবার ঘরে কোনো ডিজিটাল ডিভাইস না রাখাই ভালো। প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অংশ, তবে এর সঠিক ও পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল দুনিয়ার বাইরেও যে একটি সুন্দর জগৎ আছে, সেদিকেও মনোযোগ দিন। মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে নিজেকে রিচার্জ করুন, তাহলেই আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সতেজ থাকতে পারবেন।

আরও পড়ুন