দক্ষিণ লেবাননের পাহাড়ি এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান একযোগে এক ডজনেরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে, যা শুক্রবার এই অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, হামলাগুলো নাবাতিয়ে শহরের কাছের একটি পাহাড়ি এলাকায় চালানো হয়। তাদের ধারণা, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অস্ত্রের ঘাঁটি এখনও সেখানে থাকতে পারে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো হিজবুল্লাহর ‘ফায়ার অ্যান্ড ডিফেন্স সিস্টেম’ পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত একটি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, গত বছরের যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই ঘাঁটিটি হিজবুল্লাহ পুনরায় সক্রিয় করার চেষ্টা করছিল, যা গত নভেম্বরে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন।
তবে, লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েলের দিকেই পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল নিজেই ক্রমাগত লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে মার্কিন-মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করছে।
এই ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবাননকে সব ধরনের আধাসামরিক অস্ত্র ও যোদ্ধা মুক্ত রাখতে হবে, ইসরায়েলি সেনাদের লেবানন ছেড়ে যেতে হবে এবং সীমান্তজুড়ে সব ধরনের হামলা বন্ধ রাখতে হবে। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি ভিন্ন।
ইসরায়েলি সেনারা এখনও লেবাননের অন্তত পাঁচটি ঘাঁটিতে অবস্থান করছে এবং তাদের বিমানবাহিনী প্রায়ই হিজবুল্লাহ সদস্য বা তাদের সহযোগীদের ওপর হামলা চালায়। এই পাল্টাপাল্টি হামলা ও অভিযোগের চক্রে সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। হিজবুল্লাহ এই হামলা নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।