শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করলেই বছরে প্রায় ১০% লাভ হবে—এই ধারণাটি হয়তো ২০২৫ সালে একটি ধাক্কা খেতে চলেছে। ওয়াল স্ট্রিটের বহু বিশ্লেষক পূর্বাভাস দিচ্ছেন যে, S&P 500 সূচক এ বছর প্রায় স্থবির থাকবে বা সামান্যই বাড়বে। এই সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে চিন্তার উদ্রেক করেছে।
এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, গত দুই বছরের অসাধারণ সাফল্যের পর বাজার বছরের শুরুতেই সর্বকালের সর্বোচ্চ শিখরের কাছাকাছি ছিল, ফলে নতুন করে বড় উত্থানের সুযোগ সীমিত। দ্বিতীয়ত, অনিশ্চয়তার একটি ঘন মেঘ জমেছে।
বিশ্লেষকরা বাণিজ্য শুল্ক, মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা এবং সুদের হার নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপের মতো বিভিন্ন বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করছেন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কী করা উচিত? যারা দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের জন্য, যেমন অবসরের জন্য সঞ্চয় করছেন, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো—ধৈর্য ধরুন। বাজারের স্বল্পমেয়াদী অস্থিরতা দেখে আতঙ্কিত হয়ে বিনিয়োগ তুলে নেওয়া সবচেয়ে বড় ভুল হতে পারে।
তবে, এই পূর্বাভাস একটি গভীর শিক্ষাও দিচ্ছে। যেহেতু আগামী দশকের পূর্বাভাসও খুব আশাব্যঞ্জক নয়, বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনার ওপর জোর দিচ্ছেন।
শুধুমাত্র বড় আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক স্টক, ছোট কোম্পানি (স্মল-ক্যাপ) এবং ভ্যালু স্টকের মতো বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ছড়িয়ে দেওয়ার এটাই সঠিক সময়। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা একটি শক্তিশালী পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন, যা সম্ভাব্য ধীরগতির বাজারেও টিকে থাকতে পারবে।