ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পরেই কিয়েভে রাশিয়ার ইতিহাসের ভয়াবহতম ড্রোন হামলা

LinkedIn
Twitter
Facebook
Telegram
WhatsApp
Email
ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ
ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়া কিয়েভের ওপর এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

এই হামলায় অন্তত একজনের মৃত্যু এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া সারারাত ধরে মোট ৫৩৯টি ড্রোন ও ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা রাজধানী কিয়েভকে ভোর পর্যন্ত সন্ত্রস্ত করে রাখে।

সাইরেনের বিকট শব্দের মধ্যে সাধারণ মানুষ পাতাল মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নেয়। কিয়েভের সামরিক প্রধান একজনের মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; প্রায় ৪০টি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, স্কুল এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পোল্যান্ড জানিয়েছে যে, তাদের দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে “ইচ্ছাকৃতভাবে বিশাল ও নির্মম” বলে নিন্দা করেছেন এবং এর সময়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন যে, এটি ট্রাম্প-পুতিন আলোচনার পরেই চালানো হয়েছে। পরে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে কথা বলেন এবং উভয়েই কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সম্মত হন।

এই হামলার পর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা একটি বিধ্বস্ত ড্রোনে চীনের তৈরি যন্ত্রাংশ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। রাশিয়া সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি করলেও, বেসামরিক এলাকায় এই নৃশংসতার পর মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

আরও পড়ুন